এই দুনিয়াটা এখন প্রতারকদের কবজায় রয়েছে। হাটে বাজারে, নগরে বন্দরে, প্রতিটা পরিবারে, প্রতিটা গ্রামে, প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে , মোট কথা সকল ডিপার্টমেন্টে চলছে কিভাবে ওজনে কম দিয়ে বেশি মুনাফা নেয়ার প্রতিযোগিতা।
আল্লাহ নিষেধ করেছেন খেয়ানত কারী না হতে আল্লাহর সাথে , রাসুল সাঃ এর সাথে, নিজেরা নিজেদের সাথে। যারা ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন তারা ধর্মের সঠিক টা জনগনের কাছে না জানানো টা ই হলো ঐ আলেমের জন্য ওজনে কম দেয়ার নামান্তর তথা তার জন্য এ কাজটাই হলো খেয়ানতকারীর বহিঃ প্রকাশ। তথাকথিত দুনিয়ার জ্ঞানে যারা জ্ঞানী তারা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, দিনের ভোট রাতে হওয়া, ঢামী নির্বাচন ইত্যাদির ব্যাপারে ন্যায় সংগত অবস্থান না গ্রহন করা তাদের জন্য ওজনে কম দেয়া অথবা খেয়ানত কারী হওয়ার অপরাধে অপরাধী হওয়ার শামিল। ক্রয় বিক্রয় করারা সময় ভালো জিনিস না দিয়ে ভালো জিনিসের কথা কথা বলে ভালো মুনাফা হাতিয়ে নেয়াটাই হলো খেয়ানতকারী তথা ওজনে কম দেয়ার নামান্তর। শিক্ষক তার ছাত্রদের সঠিকভাবে না পড়িয়ে যেন তেন কায়দায় সময় পার করে বেতন নেয়াটাই হলো ঐ শিক্ষকের জন্য খেয়ানতকারী আর ওজনে কম দেয়ার নামান্তর। ভাই বোন , চাচা, জেডা, তাদের ওয়ারিশের সম্পদ নিজেদের কবজায় রাখতে নানান কৌশলে ভাগ করে অথবা ছয়নয় করে তার প্রাপ্য অধিকার হরন করাই হলো খেয়ানত কারী হিসাবে আল্লাহর কাছে অপরাধী আর ওজনে কম দেয়ার অপরাধে অপরাধী। পবিত্র কোরআনের সুরায়ে আনফালের ২৭ নম্বর আয়াত আর ইবনে মাজার ৪০১৯ নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে যদি কেউ ওজনে কম দেয় তাহলে আল্লাহ জালিম শাসক জনপদের লোকদের ঘাঢ়ের উপর জালিম শাসক চাপিয়ে দেয় এই ওজনে কম দেয়ার অপরাধের সাঁজা হিসাবে। যদি কেউ কোরআনের আনফালের ২৭ নম্বর আয়াত এবং ইবনে মাজার ৪০১৯ নম্বর হাদিস গবেষনা করে তাহলে সহজেই বুঝতে পারবে কেন আল্লাহ জনগনের ঘাঢ়ে জালিম শাসক চাপিয়ে দেয়।
মোট কথা উপরে উল্লেখিত অপরাধ যদি জাতির লোকেরা বেশি করে তাহলে ঐ জাতির ঘাঢ়ে আল্লাহ জালিম শাসক চাপিয়ে দেয়। এখন সবাই যদি উপরে উল্লেখিত এই অপরাধ গুলি থেকে নিজেদের বাঁচবার জন্য প্রানপ্রন চেষ্টা চালায় তাহলে মহান এই জালিম শাসক থেকে জাতিকে রক্ষা করবেন। জনগন জালিম শাসকের পতন ঘটাতে পারেনা। আল্লাহ জালিম শাসকের পতন ঘটান। জালিম শাসকের পতনের আল্লাহর ফরমুলাটা আল্লাহ সুরায়ে নাহলের ২৬ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
আমি গবেষনার খোরাক দিলাম এবার চিন্তা গবেষনা করার দায়িত্ব আপনাদের উপর বর্তায়। কোটা আন্দোলন করে , হরতাল সাড ডাউন করে, অবরোধ করে, জালিম হঠাও আন্দোলন করে, জ্বালাও পোড়াও , নানাবিধ প্রান হানি করে জনগনের ক্ষতি করা যায় জালিম শাসককে হটানো যায়না। সুরায়ে আনফালের ২৭ নম্বর আয়াতের অপরাধ থেকে নিজেরা বাচতে পারলে আর ইবনে মাজার ৪০১৯ নম্বর হাদিসের ওজনে কম দেয়ার অপরাধ থেকে বাচতে পারলে এই জালিম শাসককে আল্লাহ নাস্তেনাবুত করে দেবেন এটা সুরায়ে নাহলের ২৬ আয়াতে আল্লাহ ওয়াদা করেছেন।
তাহলে আসুন যার যার অবস্থান থেকে আমরা ভালো হওয়ার জিহাদে নিজেদের শামিল করি এবং জালিম শাসকের পতনের পথ প্রসস্থ করি। আমিন।